স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলা সদরে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো। ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজ খান চঞ্চলের একান্ত প্রচেষ্টায় আবারও ফিরে আসলো মহেশপুরের আদালত।
গত ১২ নভেম্বর সকালে মহেশপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আদালতের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
ঝিনাইদহের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নাজিমুদ্দৌলার সভাপতিত্বে অনষ্ঠিত উদ্বোধনী অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ- ৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আল- আমিন মাতুব্বর, ঝিনাইদহ ল্যাণ্ড সার্ভে ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক (যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম নবী, ঝিনাইদহ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারুক আজম, মহেশপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন, পিপি ইসমাইল হোসেন, জিপি বিকাশ কুমার ঘোষ, জেলা আইনজিবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন।
প্রধান অতিথি এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল তার বক্তৃতায় বলেন, অনেক চেষ্টার পর র্দীঘ ৩২ বছর শেষে আপন ঠিকানায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এবার আমার এলাকার অসহায়-সাধারণ মানুষকে আর ভোর রাতে ঝিনাইদহে যাওয়া লাগবেনা।
বাংলাদেশের সীমান্তাঞ্চলে অবস্থিত ঝিনাইদহ জেলা। আবার এই সীমান্তবর্তী জেলার সীমান্তে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলা। মহেশপুরের সীমান্ত থেকে জেলা শহরের দুরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। ৪১৯.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মহেশপুর উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। বৃহৎ এই জনগোষ্ঠির মাঝে জমিজমা ও অন্যান্য বিষয়ে মামলা মোকর্দ্দমা প্রায় লেগেই থাকে। ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশের উপজেলা পর্যায়ের আদালতের কার্যক্রম জেলা সদরে স্থান্তরিত হওয়ায় মহাদূর্ভোগে পড়ে সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলার জনগণ। আদালত আবার ফিরে আসায় সেই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলেন মহেশপুর উপজেলাবাসী।
মহেশপুরের সাধারণ জনগণ এমপি চঞ্চলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply